অশনি ডঙ্কা-
হে! দুর্নিবার, দুর্দম।
ওঠো, জাগো, বাজাও দামামা,
অবিরাম হরদম।
বিপ্লবের প্রখর দিনে,
বিপ্লবীর জনজীবনে,
অশান্ত চিত্ত আজি ভয় শূণ্য যেথায়,
লড়বো মোরা অধিকারের সত্তায়।
মানুষ হয়ে মানুষের তরে,
বিপ্লবের লৌহতপ্ত আকরে,
নাড়িয়ে দেবো বিশ্ব আজি,
বিপ্লবেরই রক্তিম জোয়ারে।
হাতুরি গাইতি চালায়ে যারা
গড়িছে তোমার ইমারত।
তাদেরই হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে,
তুমি মাপিতেছো মুনাফার অংক,
তাদের বখরা রেখেছো তলানিতে।
তাদের রক্তচোষা পাওনা গন্ডার
হিসাব মিলাও খুবই সস্তার।
তাদেরই করের অবদান,
তাদেরই করেছো দান।
তবে কেন তোমার সুনাম?
হাজার মানুষ তোমারে,
বিশ্বাসে দিয়েছে সিংহাসন।
তাহারি উপর তোমারি অহংকার।
তুমি হয়েছ আজি কেন দুঃশাসন?
দিকে দিকে শুধুই আমিত্বের হুংকার।
তিলে তিলে গড়ে তোলা জনসম্পদ,
তাহারে হেলায় দিতেছ বিলায়ে।
ধনী আরো ধনী হবে বিস্ময় প্রলয়ে।
সোনার কেল্লা গড়িয়া শুধু আপন তরসে,
অক্ষয় রহিবার স্বপন রহিবে না ভরসে।
যাদেরই জন্য তুমি আজ সবার উঁচে,
তাহারি রশির টানে নির্ঘাত পড়িবে নীচে।
শৈশব গুলো জ্বলছে আজি,
হিংসা আর ঘৃণার অনলে।
বঞ্চিত আজ বিভ্রান্ত মানুষ গুলো,
মিথ্যা আর বিভাজনের যাঁতাকলে।
একদিন তোমার ওই দর্প অহংকার,
হারাবে অস্তিত্ব সেই দাবানলে।
বিবেক ভরা বিবেকানন্দ
মানিছো তোমারি গুরু,
হিংসা আর ঘৃণা দিয়ে,
তবে কেন তোমার শুরু।
মনের অন্তর মলীন করে,
আছে যারা স্বর্গ দুয়ারে।
হে! বিপ্লবী ওঠো, জাগো,
চুরমার করে দাও,
তব বিপ্লবী হুংকারে।
দিকে দিকে অনাচারের বিচারে
চালাও কুঠার বিপ্লবী অভিসারে।
কলমে কবি-মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
------------------------
সাহিত্য লহরীতে আপনাদের সকলকে স্বাগত।
-------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন