রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

জীবন সায়াহ্নে-গোধূলি লগ্নের কবিতা। Poem by Md Kamaluddin.

জীবন সায়াহ্নে -শেষ বিদায়ের প্রাক্কালের অনুভূতি।


জীবন সায়াহ্নে।

ওহে কবি! সন্ধ্যা হয়ে এলো,
কেশে তোমার ধরেছে যে পাক। 
বসে বসে উর্ধ্ব পানে চেয়ে,
শুনতেছ কি পরকালের ডাক? 
কবি কহে,'সন্ধ্যা হলো বটে' 
শুনছি বসে লয়ে শ্রান্ত দেহ। 
ওই পারে ওই পল্লী হতে যদি 
আজো হঠাৎ ডাকে আমায় কেহ। 
সন্ধ্যা তারা উঠে অস্ত গেল, 
চিতা নিবে এলো নদীর পারে। 
কৃষ্ণপক্ষে হলুদ বর্ণচাঁদ, 
দেখা দিল বনের একটি পারে। 
শৃগাল সভা ডাকে ঊর্ধ্ব রবে, 
পোড়ো বাড়ির শূন্য আঙিনাতে 
এমন কালে কোন গৃহ ত্যাগী, 
হেথায় যদি জাগতে আসে রাতে। 
জোড়া হস্ত ঊর্ধ্বে তুলি মাথা, 
চেয়ে দেখে সপ্ত ঋষির পানে, 
প্রাণের কূলে আঘাত করে ধীরে 
সুপ্তি সাগর শব্দ বিহীন গানে  
ত্রিভুবনের গোপন কথাখানি 
কে জাগিয়ে তুলবে তাহার মনে। 
আমি যদি আমার মুক্তি নিয়ে 
যুক্তি করি আপন গৃহকোণে? 
কেশে আমার পাক ধরেছে বটে! 
তাহার পানে নজর এত কেন? 
পাড়ায় যত ছেলে এবং বুড়ো 
সবার আমি এক বয়সী যেন। 
ওষ্ঠে কারো সরল সাদা হাসি,
কারো হাসি আঁখির কোনে কোনে। 
কারো অশ্রু উছলে পড়ে যায় 
কারো অশ্রু শুকাই মনে মনে।
কেউ বা থাকে ঘরের কোনে দোঁহে 
জগৎ মাঝে কেউবা হাকায় রথ। 
কেউবা মরে একলা ঘরের শোকে 
জনারণ্যে কেউবা হারায় পথ। 
সবাই মোরে করেন ডাকাডাকি 
কখন শুনি পরকালের ডাক। 
সবার আমি সমান বয়সী যে, 
চুলে আমার যত ধরুক পাক 
আমি তোমাদেরই মাঝে 
তবু আমি আমারই মতো থাক।

লেখক ও কবি- মোঃ কামাল উদ্দিন।

সাহিত্য নহরীতে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন