বেনিয়োগ-সাম্প্রতিককালের ঘটনা আলেক্ষে একটি কবিতা।
বেনিয়োগ-
বৃষ্টির ঝাঁটে দাওয়া
ভেজা চৌকাঠ।
মেঝেতে বিমর্ষ মা
চিথপাত অকস্মাৎ।
আধ্ পেটা নুন ভাত।
বেঁচে থাকার ন্যূনতম সংস্থান।
এক সাথে অভাব,
দুশ্চিন্তার অবস্থান।
কাত হয়ে চলা,
পালতোলা তরী যেন,
কখন ডুবে যায় হেন।
সামনে হতাশার কিচির-মিচির,
বাবা বেচারা হারাধন মানুষ বড় মাটির। জওয়াল কাঁধে বলদ জোড়ার সাথে,
মাটি কেটে যায় দিন রাতে।
মজুরি খাটে, ছেলের লেখা পড়ায়,
একদিন হাসাবে পৃথিবী সে আশায়।
কোন একদিন আসিবে সুখের দিন,
বাজিবে হতভাগ্য কুটিরে উল্লাস বীণ।
এলো সুখবর চাকরিটা পেলে ধনা মিত্তির বড় সাধনায় এক করে দিন রাত্রির.
স্কুলে যাবে সে পরমপ্রাপ্তি ,
ঘর হতে অভাবের বিদায় চির শান্তি।
পাতাটা উল্টে দেখি,
আরো অনেক ভয়ানক কথা।
প্রতিহারা নির্মলার যন্ত্রণার ব্যথা।
তিনটি সন্তান নিয়ে,
রাস্তার পাশে ফুচকার দোকান দিয়ে। বেঁধেছিল ভাঙ্গা ঘর,
লড়াই অক্লান্ত বেঁচে উঠবার।
বিচারের নামে প্রহসন-
তত্ত্ব কথাই বলে।
ঠগ বাঁচতে গা উজার,
পঁচিশ হাজারো চাকরে বেকার।
কর্ম গেল অস্তাচলে।
মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, ছলনার কোলাহলে।
কর্তা মশাই বলছে বটে।
চাকরি হয়েছে চুরি।
প্রশ্ন সেথায়-
চোর যদি না থাকে দুনিয়ায়।
তবে কি দশচক্রে ভগবান ভূত
স্বয়ং চাকরি লয়েছে হরি।
পাইক, বরকন্দাজ, সেনা, সেপাই-
এতকিছু রাখিয়াছো পাহারায়।
সবে কি ঘুমায় নাকে তেল দিয়ে?
তাদের হোক হিসাব কেন করেছে অন্যায়? তবে কেন এমন গড়া পেটা বিচার?
হে প্রভু তাদেরই শাস্তি বিধান হোক তব ধর্ম অর্থবানের বখাটে ছেলে স্থুলিত কভু তাই বলে সকলেই পেল সাজা
তস্কর মহানুভবে সবই তো তোমার প্রজা
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে-
বিভেদ করুক মহানুভবে তস্করে
তোমার বিচার আজি অসমীচীন,
যদি না সে ধরিতে পারে অকর্মণ্যহীন.
একবার ভেবে দেখো
প্রতিটি পাতায়
চোখের জলে লেখা আছে
কত কাহিনী না বলা কথায়।
ভরসা তোমাতেই প্রেরণা।
বিধির বিধানে,
সত্য অসত্যের খতিয়ান।
শাস্তি তস্করে পুরস্কার মহিয়ানে।
-----------------------
কলমে মোঃ কামাল উদ্দিন।
-----------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন